মন্দির থেকে নিখোঁজ বাবা মহাদেবকে পাঁচ ঘন্টার মধ‍্যে খুঁজে দিল পুলিশ সাতগাছিয়ায়

9th March 2020 বর্ধমান
মন্দির থেকে নিখোঁজ বাবা মহাদেবকে পাঁচ ঘন্টার মধ‍্যে খুঁজে দিল পুলিশ সাতগাছিয়ায়


দোলের দিন সাতসকালেই সুপ্রাচীন মন্দির থেকে নিখোঁজ হয়েযান বাবা মহাদেব। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের সাতগেছিয়ার রুঘুনাথবাটি গ্রামে। বাবা মহাদেবের খোঁজ পেতে পুজারী অরুন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্দিরের মালিক হারাধন ঘোষ মেমারি থানার দ্বারস্থ হন। দ্রুত নিখোঁজ মহাদেবক উদ্ধারের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান , সিআই শামল চক্রবর্তি ও  মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় । বাবা মহাদেবের  খোঁজে বিশাল পুলিশ ও  র‍্যাফ বাহিনী সঙ্গেনিয়ে  পুলিশ কর্তারা সমগ্র রঘুনাথবাটি এলাকা জুড়ে শুরু করেদেন খানা তল্লাশী চালানো । তল্লাশী  চালাতেই দেখা মেলে বাবা মহাদেবের । এদিন তল্লাশী চালাতে চালাতে মন্দির থেকে প্রায় হাফ কিমি দূরে একটি খড়ের গাদার কাছে ।ওই খড়ের গাদার ফাঁক দিয়ে পথরের বস্তুর মত কিছু একটা চোখে পড়তেই   থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ কর্তারা । খড়ের গাদায়  ঘেঁটে তল্লাশী চালাতেই সেখানেই  বাবা মহাদেবের হদিশ পান পুলিশ কর্তারা ।ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়  সেইখান থেকে বাবা মাহাদেবের পাথর মূর্তিটি নিজের কাঁধে  তুলেনেন। এরপর অন্য পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেই  ওসি বাবা মহাদেবকে নিয়ে ঘোষ বাড়ির মন্দিরের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেন । বাবা মহাদেবকে উদ্ধার করতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়েপড়েন ওসি সুদীপ্ত বাবু। তিনি ঘোষ পরিবারের কর্তা  হারাধন ঘোষকে বলেন, ‘নতুন মন্দির গড়ে তুলে ঘটাকরে বাবা মহাদেবকে প্রিতিষ্ঠা করুন। গ্রামের সব লোককে  ভোগঅন্ন  খওয়াবেন। সব খরচ আমি দেব । ’ পুলিশের তৎপরতায় নিখোঁজ হয়েযাবার পাঁচ ঘন্টার মধ্যে  বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাবা মহাদেব  নিজের ঘরে ফেরার পর বাঁধ ভাঙা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন রঘুনাথবাটি গ্রামের  বাসিন্দারা।খুশিতে  সবাইকে মুষ্টি মুখ করিয়ে এরপরেই দোল উৎসবে মাতোয়ারা হলেন রুঘুনাথবাটি গ্রামের বাসিন্দারা।  হারাধন ঘোষ এদিন  বলেন ,এদিন সকাল ৬ টা নাগাদ পুজারী  অরুন বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দিরে পুজো করতো যান । তখনই পুজারী দেখেন মন্দিরে  ৫০০ বছরের প্রাচীন  শিবলিঙ্গটি নেই । এরপরেই তিনি ও পুজারি সবিস্তার মেমারি থানায় জানান ।পুলিশের তৎপতায় দ্রুত বাবা  মহাদেবকে ফিরে পাওয়া  সম্ভব হল । হারাধন বাবু জানান ,তাঁরা বংশের সবাই মিলে পুরানো মন্দিরটি  সংস্কার করে নতুন মন্দির তৈরি করবেন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।